রখুনী কান্ত
দিনাজপুরের বিরামপুর উপজেলার অন্তর্গত খানপুর ইউনিয়নের রতনপুর বাজারের উত্তর পাশে অবস্হিত এই জমিদার বংশের বাড়িটি যা প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন বহু পূর্বের নির্মাণ জমিদার বাড়িটি সংরক্ষণের অভাবে বিলীন হতে চলেছে। অনুসন্ধানে জানা গেছে, বৃটিশরা বহু পূর্বে ফুলবাড়ির জমিদারের সঙ্গে খাজনা আদায়কারী হিসাবে রাজকুমার সরকারকে বিরামপুরের রতনপুর কাচারীতে প্রেরণ করেন। এখান থেকে তিনি বিরামপুর, নবাবগঞ্জ, হাকিমপুর ও ফুলবাড়ী এলাকার প্রজাদের নিকট থেকে নৈপুণ্য ও যোগ্যতার সাথে খাজনা আদায় করতেন।আদায়কারী কর্মদক্ষতায় সন্তষ্ট হয়ে জমিদার তার বোনের সাথে রাজকুমারের বিয়ে দেয় এবং সাড়ে ৬শ বিঘা জমিসহ রতনপুর কাচারী উপহার দেন। সাধারণ আদায়কারী থেকে জমিদার বনে রাজকুমার আরো অধিক অর্থম্পদের নেশায় মেতে ওঠেন। যাইহোক, তৎকালীন তাঁর মৃত্যূর পর পূত্র রখুনী কান্ত বাবুই একমাত্র পৈত্রিক সূত্রে মালিক হন এই জমিদারবাড়িটির ।
কিন্তু ১৯৭১ সালে এদেশে স্বাধীনতার যুদ্ধ শুরু হলে রখুনী কান্ত বাবু পাড়ি দেন কলকাতায় তাঁর বংশধরদের কাছে ।তবে সরেজমিনে দেখলাম বাড়িটির এক কোনায় একটি রুমে ইউনিয়ন ভূমি অফিস হিসেবে কাজ করছে । বর্তমানে এখানকার আশেপাশে গড়ে উঠেছে একটি ইসলামিক মিশন হাসপাতাল, ১টি দাখিল মাদ্রাসা, মসজিদসহ বিশাল একটি পুকুর। জমিদারের তৈরীকৃত সুদৃশ্য দ্বিতল অট্টালিকা যা বর্তমানে পরিত্যক্ত এই জমিদার বাড়িটি এখন জীর্ণ জংগলময় ভূতুড়ে বাড়ি।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস