শালবনের উত্তর পাশ ঘেষেই বিশাল আশুরার বিলের অবস্থান। বিলের আয়তন ২৫১.৭৮ হেক্টর। এই বিলের উপত্তি নিয়ে তৈরি হয়েছে বিচিত্র কাহিনী। কথিত আছে এই বিলের চারপাশ থেকে ৮০ টি দার বা নালা চর্তুদিকে ছড়িয়ে গেছে বলে এর নাম করণ হয়েছে আশুরার বিল। বিশাল এই বিলের গভীরতা ও কাদার তলানী এবং এর চারপাশ বেষ্টিত শালবন এক সময় নানা কিংবদন্তীর জন্ম দেয়। বিলের মাঝে কতিপয় স্থান- পাতিলদহ, বুড়িদহ, পীরদহ, মুনির আইল,কাজলাদহ, পালাদহ, মুনির থান ইত্যাদি নামে পরিচিত। এক সময় এ বিলে প্রচুর মাছ পাওয়া যেত।এ বিলের বোয়াল এবং পাবদা মাছ খুবই সুস্বাদু। এ ছাড়াও বিলে টেংরা, কই, মাগুর, পুটি চিংড়ি, আইড়মাছ, শোল, গজাড়, বাইম ইত্যাদি মাছ পাওয়া যায়।বর্ষা মৌসুম এলে এ বিলে লাল, সাদা শাপলা ফুল বিলের সৌন্দর্যকে আরো বাড়ীয়ে দেয়।বিভিন্ন স্থান থেকে ভ্রমন পিপাষু মানুষ আশুড়ার বিলের সৌন্দর্য দেখে মুগ্ধ হয়। বোরে মৌসুমে এ বিলে স্থানীয় কৃষকরা বোরো ধান চাষ করে এবং প্রচুর ফলন পায়।আশুরার বিল মস্যজীবি সমবায় সমিতি লি: ২০১৩ সাল পর্যন্ত বিল ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে আছে।বিলটিতে মস্য অধিদপ্তর হতে প্রতি বছর সরকারী অর্থে পোনা মাছ অবমুক্ত করা হয়। এ সমিতি নিজ ব্যয়ে বিলটিতে ২০ একরের অভয়াশ্রম স্থাপন করেছে। অভয়াশ্রমটি বিপন্ন প্রজাতির মাছ সংরক্ষন ও প্রজনন ক্ষেত্র হিসেবে খুবই গুরুত্বপূর্ন। মস্য অধিদপ্তরের অনুমতি সাপেক্ষে অর্ধেকাংশে প্রতি দুই বছর পর পর রাক্ষুসে প্রজাতির মাছ ধরা হয়।ফলে বাকি অংশে মাছ বড় হওয়া ও প্রজনন করার সুযোগ পায়। বর্তমানে বিলটি ভরাট হওয়ায় মস্যজীবিরা বছরে ৪/৫ মাসের বেশী সময় মাছ ধরার সুযোগ পায়না।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস