রতনপুর বাজার
বিরামপুর ঢাকামোড় থেকে রিক্সা করে নবাবগঞ্জ রোডে রেল লাইন পার হলে রতনপুর বাজারে যাওয়ার রিক্সা অথবা ভেন পাওয়া যাবে। রতনপুর বাজারে রখুনি কান্ত জমিদার বাড়ি।
0
বিরামপুর উপজেলার উত্তরে ১২ কিলোমিটার দূরে খানপুর প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন অষ্টাদশ শতকের জমিদার বাড়িসহ জমিদারের ১২শ' বিঘা জমি বনজ, ফলদ ও ওষুধি বাগান সংরক্ষণের অভাবে বিলীন হতে চলেছে। অনুসন্ধানে জানা গেছে বৃটিশরা অষ্টাদশ শতকে ফুলবাড়ী জমিদারের পক্ষে খাজনা আদায়কারী হিসেবে রাজকুমার সরকারকে বিরামপুরের রতনপুর কাচারিতে প্রেরণ করা হয়। এখান থেকে বিরামপুর, নবাবগঞ্জ, হাকিমপুর ও ফুলবাড়ী এলাকার প্রজাদের নিকট থেকে নৈপুণ্য ও যোগ্যতার সাথে খাজনা আদায় করতেন। আদায়কারীর কর্মদক্ষতায় সন্তুষ্ট হয়ে জমিদার তার বোনের সাথে রাজকুমারের বিয়ে দেয় এবং সাড়ে ৬শ' বিঘা জমিসহ রতনপুর কাচারি উপহার দেয় সাধারণ আদায়কারী থেকে জমিদার বনে রাজকুমার আরো অধিক অর্থ-সম্পদের নেশায় মেতে ওঠেন। অপরদিকে একই মৌজায় অঢেল অর্থের মালিক রঘুহাসদা নামের আড়াইশ' একর জমি গৃহস্থ এক প্রতাপশালী সাঁওতাল ছিলেন। রাজকুমার সুযোগ বুঝে সাঁওতাল রঘু হাসদার কাছ থেকে ৫ বস্তা কাঁচা টাকা ধারে নিয়ে অন্য জমিদারের আরো ৩শ' একর জমি নিলামে ডেকে ৫০ একর ফলের বাগান দখল করে নিয়ে উপকারী রঘু হাসদাকে বিতাড়িত করেন। এলাকার একক জমিদার হিসেবে তৈরি করে সুদৃশ্য দ্বিতল বিশিষ্ট মনোরম অট্টালিকা। জানা যায়, নতুন জমিদার রাজকুমারের রতন কুমার ও রুক্ষুনী কুমার নামে দুই পুত্র সন্তানের মধ্যে ১৬ বছর বয়সের বড় ছেলে রতন কুমার মন্দিরের পুকুরে গোসল করতে গিয়ে মারা যায়। পুত্র শোকে কিছুদিন পর রাজকুমারের মৃত্যু ঘটলে ঊনবিংশ শতাব্দীর প্রথমার্ধে অঢেল সম্পদ, বাগান, পুকুরসহ ১২শ' বিঘা জমিদারী লাভ করেন রুক্ষুনী রাজকুমার সরকার। বর্তমানে এখানে গড়ে উঠেছে একটি ইসলামিক মিশন হাসপাতাল, ১টি দাখিল মাদরাসা, মসজিদসহ বিশাল একটি পুকুর। জমিদারের তৈরিকৃত সুদৃশ্য দ্বিতল অট্টালিকাটিতে ইউনিয়ন ভূমি অফিস হিসেবে কাজ করছে। জেলা প্রশাসক রুক্ষুনী বাবুর সম্পত্তি ১ নং খাস খতিয়ানে অন্তর্ভুক্ত করেছেন।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস